Programming Concept

Episode 2: সিএসই ইফতারে চাঁদা ১০০ টাকা!

Background:

আগে কোনো ডিপার্টমেন্টে কোনো ইফতারিতেই টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হতোনা। গতবছর থেকে এই রীতি প্রথম শুরু করছে সিএসই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান উৎপল কান্তি দাস। সেবার বলা হলো ডিপার্ট্মেন্টের ফান্ডে টাকা নাই, তাই এবার আমরা সবাই কন্ট্রিবিউট করে ইফতারটা আয়োজন করবো। রেজিষ্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা ধরা হইছিলো। ফান্ডে টাকা নাই এই কথা শুনে শিক্ষার্থীরাও আর এটা নিয়ে মাথা ঘামায় নায়, আচ্ছা ঠিক আছে ডিপার্টমেন্টে টাকা নাই, আমরা কন্ট্রিবিউট করলাম, প্যারা নাই। এর আগে কখনোই টাকা দিয়ে ছেলেমেয়েদের ইফতার করতে হয়নায়, ওইবারই প্রথম।

Main Context:

সিএসই এবারও ইফতারে রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা ধরছে। এটা কি ফাজলামি পাইছে! ইফতার আমরা টাকা দিয়ে কেনো করবো! কোনো ডিপার্টমেন্টই টাকা নিয়ে ইফতারি করাচ্ছে না, কখনো করায় ও নায়। গতবার বলছে ডিপার্ট্মেন্টে টাকা নাই, ভালো কথা, আমরা কন্ট্রিবিউট করছিলাম। এখন দেখি এইটারে উৎপল রেগুলার ঘটনা বানায় ফেলসে! এখন কি প্রতিবছর টাকা দিয়ে ইফতার করতে হবে আমাদের! আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা সেমিস্টার ফি দিয়ে পড়তেছি এই ভার্সিটিতে। বছরে যদি একটা ইফতার আমাদের অফার করতে না পারে তাহলে করলাম না এই ইফতার! ফ্যাসিজম উৎপলের মাথায় উইঠা গেছে।অন্য কোনো ডিপার্টমেন্ট টাকা নিয়ে ইফতার করানোর কথা মাথায় আনতে পারে না, আর ও এইটা রে রেগুলার ঘটনা বানায় ফেলছে। আপনারা ১০০ টাকা কেনো ১ টাকা দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করবেন না। এই ইফতার আমরা সারাজীবন ফ্রী তেই করে আসছি। উৎপল বাঙ্গু এই ট্রেন্ড শুরু করছে। ও সিওর ডিএ ম্যাডামের সামনে ভাব মারায় যে ম্যাডাম দেখেন আমি আমার ডিপার্ট্মেন্টের ইফতার পোলাপানের থেকে টাকা তুলে করতেছি, ডিপার্ট্মেন্টের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আমার কত নিয়ন্ত্রণ। তারা এটা নিয়ে অভিযোগ করে নায় বরং অতি আনন্দের সাথে সিরিয়াল ধরে ইফতারের রেজিস্ট্রেশন করছে। ইফতারের কোনো রেজিষ্ট্রেশন ফি থাকতে পারবে না। সোজা কথা। রমজান মাস সবচেয়ে পবিত্র মাস। সংযোমের মাস। আমরা পাপ কাজ থেকে নিজেদের দূরে রাখি। এই সময় আমরা দান খয়রাত বেশি বেশি করি। পরিবার পরিজন মিলে একসাথে ইফতার করি। ইফতার বানিয়ে ট্রে তে করে প্রতিবেশীদের দিয়ে আসি।বন্ধুদের বাসায় দাওয়াত দিয়ে একসাথে ইফতার করি।পুরো এক মাস প্রত্যেকটা মসজিদে ইফতারের ব্যবস্থা থাকে সবার জন্য। এই একটা মাস আমরা মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ঈমান মজবুত হয়। নিজেদের আরও বেটার হিউম্যান হিসেবে আমার গড়ে তোলার চেষ্টা করি এই সময়। আমাদের এই ধর্মীয় অনুভূতি এই মালাউন উৎপল কি বুঝবে! ওর হিন্দুত্ববাদ ওর পিছন দিয়ে হান্দায় দিবো। হিন্দু ফ্যাকাল্টি রিক্রুট রেট এত বেশি কেনো! সিএসই র কোনো প্রোগ্রামে আমরা কেনো কখনোই গরুর গোশত দেখি না! এরকম অনেক ব্যাপারই সামনে আসবে আস্তে আস্তে। তারাতাড়ি রেজিষ্ট্রেশনের টাকা ফেরত দিবি সবাইকে। আমরা কোনো প্রকার টাকা দিয়ে ইফতার করবো না।